০।
বেশ শীত শীত লাগছে। সারাদিন আকাশ কেমন যেন মেঘলা মেঘলা ছিল অনেকটা শৈত্যপ্রবাহের সময়কার আকাশ। তবে দিন শীত না থাকলেও এখন যেন মনে হয় একটু একটু করে বাড়ছে। আজকে রাতে হয়ত ফ্যান বন্ধ করে ঘুমাতে হবে। ঢাকা শহরে সব অদ্ভুত, পরিবেশটাও। হয়ত কাল আবার দেখা যাবে অসহ্য গরম। পরিবেশ পরিবর্তনের উদাহারণ খুজতে আজকাল আর বইয়ের পাতায় বা অন্য দেশের উদাহারণে যেতে হয় না। আশেপাশেই প্রচুর উদাহারণ।
০১।
ঈভ টিজিং মনে হয় আজকাল চরম আকার ধারণ করেছে। মাঝখানে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন পত্রিকা, নেট এইসব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। এসে পুরাতন পত্রিকা পড়তে গিয়ে দেখি অবস্থা ভয়াবহ। কী হবে আমাদের ভবিষ্যত? কেউ আমরা আসলে ভেবে দেখি না এইসব। পত্র পত্রিকায় খবর আসে, সেইটা পড়ে আমরা একটূ আহ উহ করি তারপর আবার সব ভুলে যাই। হয়ত বিকেলে বন্ধুদের আড্ডায় বসে সামনে দিয়ে যাওয়া কোন মেয়ের উদ্দ্যেশে বন্ধুদের কেউ কোন মন্তব্য ছুড়ে দিলে সেই মন্তব্যে হেসে উঠি। তারপর রাতের খাবার টেবিলে এসে ভদ্রমানুষ সাজি, ঈভ টিজারদের অমানুষ বলে গালি দেই। আসলে পরিস্থিতি বদলায় না কারণ হয়ত আমরা নিজেরাই সেটা বদলাতে চাই না তাই।
০২।
নিজের ইংরেজী জ্ঞান দেখে মাঝে মাঝে নিজেরই ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। প্রায় ১৬ বছর ধরে এই ভাষাটার সাথে পরিচয় কিন্তু কিসের কী? ভাল করে কিছুই শিখতে পারলাম না কিন্তু বন্ধু বান্ধবরা দেখি স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জাপানিজ, জার্মান কত কিছু শিখে ফেলছে। সবাই বলে আজকাল নাকি সিভিতে ইংরেজির সাথে সাথে আরেকটা ভাষা জানার কথা লেখা থাকলে ভাল হয়। এইসব কথাবার্তা শুনে মনে হয় কোন অফিসে সিভি ড্রপ করলে হয়ত আমারটা কষ্ট করে পড়েই দেখবে না। তাই ভাবছি ত্রিশ দিনে কোরিয়ান শিখুন টাইপ কোন কোর্সে ভর্তি হয়ে যাব নাকি 😛
০৩।
নেট ব্যবহার করি ২০০৭ থেকে। প্রায় তিন বছর। এই তিন বছর আস্তে আস্তে নেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছি অনেকাংশেই। সারাদিন যত ব্যস্ত থাকি না কেন দিন শেষে একটু নেটে বসতে না পারলে ভাল লাগে না। মাঝখানে কয়েকদিন ছিলাম ঢাকার বাইরে। পুরা সময়টাই নেটে সংযোগ ছাড়া। সময় খুব একটা খারাপ কাটল না, ভালই। হয়ত যতটা নির্ভরশীল ভেবেছিলাম ততটা এখনো হইনি।
০০।
কাজের প্রতি ডেডিকেশন একটা বড় জিনিস। এই একটা শব্দই দু’টা মানুষের মাঝে পার্থক্য করে দিতে পারে। এক বিন্দু থেকে শুরু করা সমান ক্ষমতা দুই জন পৌছে যায় দুই ভিন্ন বিন্দুতে অনেক সময় শুধু মাত্র কাজের প্রতি তাদের ডেডিকেশনের ভিন্নতার জন্য। ভার্সিটি লাইফে এটা গত চার বছরে আমার জন্য একটা বড় শিক্ষা ছিল। কীভাবে? সে গল্প আরেক দিন হবে।
কোরিয়ান না শিখে চাইনিজ বা হিন্দি শিখলে মনে হয় বেশি লাভ হবে, যেভাবে সবাই বলা বলি করছে, চীন আর ভারতই আগামী বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে :p
চাইনিজ বা হিন্দি শিখতে সমস্যা নাই কিন্তু রাস্তার মোড়ে মোড়ে তো আর ৩০ দিনে কোরিয়ান শিখুন টাইপ কোন বিজ্ঞাপন পাই না 😛
😛 😛