০।
নতুন বছর শুরু হয়ে গেল কিন্তু নতুন কোন লেখা নেই তাই আবজাব কিছু গল্প নিয়ে আবার ফিরে আসা। হয়ত এইভাবেই বারবার মানুষ তার নিজস্ব জায়গায় ফিরে আসে, কখনো কারণে কখনো অকারণে।
০১।
এইবার বছর শুরুর সময়টা ঢাকার বাইরে ছিলাম, বলা যায় অনেকটাই নেটের বাইরে। তাও নেটে ঢুকা হল কয়েকবার। ঢুকে দেখি সবাই নতুন বছর নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়, অনেকে আবার অনেকরকম প্রতিজ্ঞা ঝু্লিয়েছে দেখলাম। এটা দেখে বেশ মজা লাগল। আগে আমিও এটা বেশ করতাম, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে না হলেও চুপচাপ মনে মনে তো অবশ্যই। প্রতিবার করা প্রতিজ্ঞাগুলো সম্পর্কে হৈমন্তীর সেই বিখ্যাত উক্তিটা মানতাম বেশ ভালভাবেই- প্রতিজ্ঞা করা হয় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করার জন্যই 😛 । এখন অবশ্য আর তেমন এইসব প্রতিজ্ঞার আশপাশ দিয়ে যাই না।
02।
এইবার ঢাকাতে মনে হয় শীত অন্য জায়গার তুলনায় তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি। চট্টগ্রামে থাকলাম প্রায় দশ-পনেরদিন কিন্তু সেখানের ঠান্ডা ঢাকার তুলনায় অনেক হালকা। তারউপর আমার বাসার কাছে গাছপালা একটু বেশি। তাই শীত রাতে মনে হয় আর বেশি লাগে সাথে আছে পুরাপুরি ভাবে না লাগা জানালা। সেই জানালার ভিতর দিয়ে আসা শীতে রাতে ভালৈ আরাম হয় 😛
০৩।
বন্ধুবান্ধবেরা দেখি চাকরি, বিসিএস, এমবিএ ইত্যাদি ইত্যাদি নানা প্রকার ফলদায়ক কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত এদের দেখলে মনে হয় পিতাজান আর মাতাজানের কথাই ঠিক কারণ তারা মনে করেন যাবতীয় আকাজ করার ব্যাপারে আমার দক্ষতা সন্দেহাতীত। এদের দেখে আমারো ব্যস্ত হয়ে যেতে ইচ্ছে করে, পিতা-মাতার সুসন্তান হতে ইচ্ছে করে কিন্তু ঠিক তখনি মনে পরে চৈনিক প্রবাদ- ছাত্র জীবন উত্তম জীবন, ইহাকে উপভোগ কর 🙂
০৪।
এই ব্লগটার এক বছর হয়ে গেল। দিন-মাস-ক্ষণ ধরলে আরেকটু বেশি তবে ব্লগ স্ট্যাট বলে মন পবনের নাওয়ে প্রথম ভিজিট হইছে ২০১০ এর জানুয়ারিতে। পাঠকের আনাগোণা হিসেবে ধরলে বয়সটা এক বছর। প্রথম যখন খুলি তখন কিছুই জানতাম না এখন কিছু কিছু জানি। তবে এই কিছু কিছু জানার পিছনে যে ছেলেটা সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে সেইটা হল মাহমুদ ফয়সল। আহা, অনেকদিন ছেলেটাকে দেখিটেখি না। আজকাল মনে হয় ওয়ার্ডপ্রেসেও নীরবে আসাযাওয়া করে, চুপচাপ আস্তে করে একটা পোস্ট দিয়ে যায়। চুপচাপ এই ছেলেটার জন্য চুপচাপ একটা ধন্যবাদ রেখে দিলাম এই জায়গায়।
০৫।
দার্শনিকতার সংকট নামে কঠিন কঠিন কথা শোনাটোনা যায়। আমার মত ম্যাংগো পিপল কে এই কঠিন জিনিস তেমন একটা স্পর্শ করে না তবে তারপরেও আমাদের মনে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, অর্থপূর্ণ অর্থহীন প্রশ্ন। ছোটকালে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা মনে মনে চাইতাম তার একটা হল বড় হতে চাওয়া। এইরকম চাইতে চাইতে একদিন যথেষ্ঠ বড় হয়ে গেলাম, দৈর্ঘ্যে এবং বয়সে। তারপর আবিষ্কার করলাম এই জগতে সবকিছুই অনেক জটিল হয়ত এই কারণেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে- আচ্ছা, বড় হতে চাই কেন?
“এই কারণেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে- আচ্ছা, বড় হতে চাই কেন? ”
আসলেই কি বড় হতে চাই?? নাকি সেই ইচ্ছার একটি অংশজুড়ে থাকে , আহা আবার যদি ছোট হতে পারতাম, আবার যদি ফিরে যেতে পারতাম!
আরে রোকন নাকি 😛
🙂
প্রতিজ্ঞা করার অভ্যাস বদলানো যায় না। ধরণ বদলে শুধু। প্রতিজ্ঞা থেকে আরেকটু হালকা, সেইটা হলো আশা। তারপর দেখি কী হয়, এই আরকি!
শুভ কামনা নতুন বছরের!
দেরিতে হলেও নতুন বছরের শুভেচ্চা 🙂
বর্ষপূর্তির অভিনন্দন। 😀
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ 🙂
দেরিতে হলেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা…….
শুভেচ্ছাটা নিতে নিতে বহুত দেরি হয়ে গেল
ছোটরা বড় হতে চায়-কারন তারা দেখে বড়দের অবাধ স্বাধীনতা। কিন্তু শৃঙ্খলটা তাদের চোখে পরে না। পরলে বড় হতে চাইতো না হয়তো।
হয়ত সেটাই কারণ
রাশেদ, তোর এই লেখাটা আমি আরেকদিন পড়সিলাম। কিন্তু পড়তে পড়তে আমার নামটা দেখে আর চুপচাপ রেখে যাওয়া ধন্যবাদ দেখে আর শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না যে ঠিক কী লিখতে পারি এখানে… আজকাল সবকিছু অন্যরকম লাগে।
তোর লেখাগুলো আসলেই দারুণ হয়। দিনলিপি টাইপ লেখাগুলা আমার ভালো লাগে কারণ ওর মাঝে আমাদেরই দৈনন্দিন অনেক ভাবনার মিল পাওয়া যায়। আমরা পাঠকরা আসলে লেখকের কাছে মিল খুঁজি। হয় পারিপার্শ্বিক, নয় অনুভূতির, নইলে চিন্তার মিল পেলে কেমন যেন বর্তে যাই।
ভালো থাকিস দোস। অনেকদিন দেখা হয় না!
হ স্যার অনেক দিন দেখা হয় না
এই কদিনও মাহমুদ ভাই চুপচাপ পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন।পরে মনে হয় কমেন্টের জবাব দিবেন।