কাটাকাটি ১৫

০।
আজকে হঠাত করে খেয়াল করে দেখলাম এই ব্লগে আমার বেশির ভাগ লেখাই ডাল দিয়ে ভাত খাই টাইপ দিনলিপি কিন্তু কেন জানি এরা সব তিনটা ভিন্ন ভিন্ন শিরনামের আড়ালে চলাফেরা করে। আসল কারণ কিন্তু অন্য পুরাটাই একটা ফাকিবাজি প্রজেক্ট। ব্লগ খোলার কিছুদিন পর দেখলাম সব লেখাই এক টাইপ তার উপর এক শিরনামে তখন বুদ্ধি বের করলাম, অলস লোকের ফাকিবাজি বুদ্ধি। তিনটা আলাদা আলাদা শিরনামে দিনলিপি লেখা শুরু করলাম। যে কেউ প্রথম দেখাতে ভাববে আহা ছেলেটা কত ভাল, তিন তিনটা সিরিজ একসাথে চালায় অবশ্য দুয়েকদিন যেতেই সবাই বুঝে ফেলে সব পুরান মদ, নতুন তিন বোতলে পুরান সব মদ 😛

০১।
আজকে বণিক ভাই আর তারেক ভাইয়ের সাথে বইয়ের দোকানে ঢুকলাম। অবশ্য ঢুকার কিছুক্ষণ পরেই বুঝছি কাজটা ঠিক করি নাই কারণ যাই দেখি তাই কিনতে ইচ্ছে করে কিন্তু আফসোস পকেট খালি। এইসব গ্যাঞ্জাম নিয়া ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে না দিতেই দেখি নজরুল ভাই আমার স্ট্যাটাস দেখে নিজে একটা স্ট্যাটাস দিল যার সারকথা হল- একসময় তার বই পড়ার ইচ্ছে ছিল, সময় ছিল কিন্তু টাকা ছিল না কিন্তু এখন টাকা আছে, ইচ্ছে আছে তবে সময় নাই। এইটা দেখে আবার নিজের কথা ভাবলাম। কে জানে হয়ত আমিও একদিন এরকম হয়ে যাব, পাওয়া আর না পাওয়ার সীমান্তে দুলব। শালা জীবনটাই একটা প্যারাডক্স।

০২।
মাশরুম আড্ডার রাইয়্যান ভাই আজকে সাইকেল ভ্রমণে বাহির হইছে, যশোর টু সিলেট।

০৩।
এই পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক কথাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তবে সেসব নিয়ে বিশদে কথা হবে আরেকদিন। আজকে যেটা সবচেয়ে অবাক করেছে বরং সেইটা নিয়ে বলি। এই নির্বাচনে আওয়ামে লীগ কী হিসেবে তাহের কে লক্ষীপুর সদরে মননোয়ন দিল এটা মাথায় ঢুকল না, যে দুয়েকটা লোকের কীর্তি গতবার লীগের ভোট বিপর্যয়ের বড় নিয়ামক ছিল তাদের মধ্যে তাহের অন্যতম। এত কিছুর পরেও কী হিসেবে তাকে এইবারো লীগ সমর্থন দিল তা খোদায় মালুম। তবে একটা জিনিস নিশ্চিত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরদর্শী মানুষের সংখ্যা মনে হয় কম কারণ এর প্রভাব যে ভবিষ্যতের নির্বাচনে অন্য সব এলাকায় পরবে তা নিশ্চিত। এইসব সামান্য হিসেব নিকেশ তাহারা করে না নাইলে জনগণকে তাহারা পাত্তা দেয় না।

০০।
এত রাতে কী করি জানতে চেয়ে পিতাজান এইমাত্র ধমকে গেল তাই আজকে যাই, আঙ্গুল নিশপিশ করতাছে তাও আজকে বেশি কথা হল না। গুড নাইট 🙂

10 thoughts on “কাটাকাটি ১৫

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান